বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পান্তা ভাত। কিন্তু অনেকে মোটা হওয়ার ভয়ে এটি খেতে চান না। ভাবেন পান্তা ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবে। আসলেই কি তাই? চলুন জেনে নিই পান্তা ভাত সম্পর্কে কিছু গোপন রহস্য-
গরমকালে পান্তা ভাত খাওয়ার চল বেশ পুরনো। রাতের খাবার খাওয়ার পর অবশিষ্ট ভাতে পানি মিশিয়ে রেখে দিয়ে তা পরের দিন সকালে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই।
কেবল বাংলাদেশ নয়, ভিয়েতনাম, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, চীনসহ অনেক দেশেই খুব জনপ্রিয় একটি খাবার এটি। জানলে অবাক হবেন, পান্তা খেলে মোটেও ওজন বাড়ে না। তাই নিয়মিত পান্তা খেলে মোটা হওয়ার ভয় একদমই নেই বলতে পারেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, পান্তা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে না বরং কমে। এছাড়া নিয়মিত পান্তা খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
সাধারণ ভাতের তুলনায় পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে ২১ গুণ যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
মাত্র ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। এদের কাজ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।
পান্তা ভাতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের পরিমাণ এমনভাবে বাড়ে যা একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত।
গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। তাই এটি ওজন বাড়ায় না বরং কমায়।
পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচারাল কুলার। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পান্তা খেলে সবরকম আলসার সেরে যায়। এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সকালে খাওয়া পান্তা সারাদিনের কর্মক্ষমতা ও এনার্জির যোগান দেয়।
ব্যস্তময় জীবনে অনেকেই এখন নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। নিয়মিত পান্তা খেলে নিদ্রাহীনতা দূর হয়।
নিয়মিত পান্তা খেলে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে, যা ত্বক টানটান রাখতে অর্থাৎ তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।