নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই বোন ও শিশু সন্তানসহ তিনজনকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে মাটিচাপা দিয়ে গুমের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত লামিয়ার বড় বোন মুনমুন আক্তার। শুক্রবার রাতে এ মামলা রুজু হয়। মামলায় নিহত লামিয়ার স্বামী আটক ইয়াছিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন ইয়াছিনের বাবা দুলাল মিয়া ও ছোট বোন শিমু।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামি ইয়াছিনকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
গত ৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া বড় বাড়ি এলাকার পোশাক শ্রমিক লামিয়া আক্তার, তার চার বছর বয়সের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ ও লামিয়ার প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্না আক্তার। নিখোঁজের চার দিন পর বাসার পাশে রাস্তা খুঁড়ে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তিনজনের খণ্ড বিখণ্ড লাশ।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং পাঁচ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইয়াসিন কোনো কাজ করতেন না এবং সংসারের খরচের জন্য প্রায়ই লামিয়াকে নির্যাতন করতেন। মাদকাসক্ত ইয়াসিন প্রায় সময় স্ত্রীকে হত্যার হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মুনমুন দাবি করেন, ইয়াসিন তার বাবা ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার দুই বোন এবং ভাগ্নেকে হত্যা করেন। পরে মরদেহগুলো গুম করতে আবর্জনার স্তূপে চাপা দিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান চলছে।