গত কয়েকটি অনুপ্রেরণামূলক কাহিনীতে
লিখেছিলাম যাদের নিয়ে তারা ছিলেন বিদেশি। তাই ভাবলাম দেশি কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়
কিনা। খুঁজতে খুঁজতে একটি টিভি অনুষ্ঠানে পেয়ে গেলাম ঘটনাটি। অনুষ্ঠানটির উপর
ভিত্তি করেই লিখলাম আজ লেখা। বেকার যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক লেখাটি সবারই ভাল
লাগবে আশা করি।
মেধা, শ্রম, একাগ্রতা আর মায়ের অনুপ্রেরণায় সমাজে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেছেন নাহার এগ্রো গ্রুপের কর্ণধার মোঃ রাকিবুর রহমান টুটুল। মাধ্যমিক স্কুল পড়ালেখার পাশাপাশি ১৯৮৬ সালে যখন তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন তখন ৩০০ লেয়ার মুরগি পালন ও ১৯৯১ সালে একটি গরু লালন পালন করতে থাকেন। পরে খামার করার চিন্তা করেন।
এই চিন্তা থেকে ১৯৯৮ সালে ৫০টি গরুর একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেন। পরে USAID এর সহায়তা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত যান। সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে অর্জিত জ্ঞান ও মেধা খাটিয়ে ২০০৮ সালে ১৫০টি দুগ্ধজাত বাছুর ও ২৫টি গাভী নিয়ে খামার স্থাপন করেন।
বর্তমানে তিনি ২ একর জায়গায় ৫৯৬ টি গরুর ডেইরি খামার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দৈনিক প্রায় ২৭৫০ লিটার দুধ বিক্রি করছেন! তিনি আশা করেন ২০২০ সালে তার গরুর সংখ্যা হবে প্রায় আড়াই হাজার।
যা থেকে প্রতিদিন দেশীয় বাজারে প্রায় ২০ হাজার লিটার দুধ সরবরাহ করতে পারবেন। তার খামারের উৎপাদন দিনদিন বাড়ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি। খামারের গোবর দিয়ে চালিত হচ্ছে বায়ো-গ্যাস প্লান্ট। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক যুবকের।
রকিবুর রহমানের এ সফলতার পিছনে রয়েছে মায়ের দোয়া, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। কয়েকদিন আগে একজন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ শিক্ষার্থী চাকুরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে! চাকুরি আপনাকে করতেই হবে এ ধারণা ছাড়ুন।
পাল বংশের রাজার নাম আর বারাক বাবার নাম জানার চেয়ে জানুন কিভাবে হাঁস-মুরগির খামার, ঝালমুড়ির দোকান, পানির বোতলের ব্যবসা ইত্যাদি করা যায়।
আর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মমূখী শিক্ষার প্রসার হওয়া দরকার। তবেই আশা করি বেকার সমস্যা থাকবে না। হাত-পা চালান, মেধা খাটান রিযিকের মালিক আপনাকে নিরাশ করবে না। আপনার রিযিক আসবেই।
তথ্যসূত্র: বাংলাভিশন টিভি।